প্যাসিভ ইনকাম করার দুর্দান্ত কিছু উপায়

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের দেখাতে চলেছি প্যাসিড ইনকামের কিছু দুর্দান্ত উপায় যেটা আপনাদের ১০০% কাজে লাগবে আশা রাখছি। আপনি এখন যে ইনকাম করছেন সেই ইনকাম যদি প্যাসিভ ইনকাম না হয় তাহলে আপনার জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত আপনাকে কাজ করে যেতেই হবে। এই কথাটা আমাদের নয় এই কথাটা বলেছেন বিখ্যাত একজন মানুষ ওয়ারেন বাফেট। যে আপনার ইনকামটা যদি প্যাসিভ ইনকাম না হয় তাহলে আপনার জীবনের সারা জীবন কাজ করে যেতে হবে। এবার আপনার মাথায় একটা প্রশ্ন আসতে পারে যে প্যাসিভ ইনকাম কাকে বলে। আসলে ইনকাম দুই প্রকারের হয় সেই দুটি ইনকাম পদ্ধতি হলো

১. অ্যাক্টিভ ইনকাম

২. প্যাসিভ ইনকাম

উদাহরণস্বরূপ বলতে গেলে একটিভ ইনকাম কি একটিভ ইনকাম হচ্ছে ধরুন আপনার একটা দোকান আছে সেই দোকানে নিয়মিত বিক্রি হচ্ছে এবং কাস্টমাররা প্রতিদিন আপনার দোকান থেকে জিনিস কিনছে এবং সেখান থেকে আপনার ইনকাম হচ্ছে। যতক্ষণ দোকান খোলা রয়েছে ততক্ষণ আপনার ইনকাম হচ্ছে আর যখনই দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আপনার ইনকাম তখনই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ দোকান যখনই একটিভ রাখবেন তখনই আপনার ইনকাম হবে আর বন্ধ রাখলে ইন অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে, একেই বলে অ্যাক্টিভ ইনকাম।

কিন্তু প্যাসিভ ইনকামের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। প্যাসিভ ইনকাম বলতে যেটা বোঝায় সেটা হচ্ছে ধরে নিন আমার একটা দোকান আছে দোকান টা কোথায় আছে অ্যামাজনে আছে অ্যামাজনে আমি একটা অনলাইন সপ ওপেন করে রেখেছি। এবার অ্যামাজন তো কখনো বন্ধ হয় না দিনরাত সবসময় একটিভ থাকে। ২৪ ঘন্টার যেকোনো সময় কেউ না কেউ আমাদের এই আমাজন শপে শপিং করছে কিংবা ঘোরাঘুরি করছে জিনিস কিনছে তখন সেখান থেকে আমার ইনকাম হচ্ছে। এবং এখান থেকে আমার রেগুলার ইনকাম হচ্ছে আমি যদি ঘুমিয়েও থাকি তাহলেও এটা ইনকাম দিবে। আর এটাকেই বলা হয় প্যাসিভ ইনকাম। অর্থাৎ আপনার জীবনে প্যাসিভ ইনকাম তৈরি করতে হবে। এবং এই প্যাসিভ ইনকাম তৈরি করতে পারলেই আপনি জীবনে অনেক ধনী হতে পারবেন না হলে আপনি সারাজীবন পরিশ্রম করলেও আপনি এতটা ধনী হতে পারবেন নি যতটা প্যাসিভ ইনকাম করলে করা যায়।

আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে বেশ কিছু প্যাসিভ ইনকাম করার টিপস শেয়ার করতে চলেছে সো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন

এই আইডিয়া গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার ইনকাম টাকে একটিভ ইনকাম থেকে প্যাসিভ ইনকামে রূপান্তর করতে পারবেন।

আমাদের সমাজে যে মানুষগুলো থাকে যারা ইনকাম করে তাদের মধ্যে এক এক জন এক এক পর্যায়ে রয়েছে যেমন

১. Employee

২. Self employed

৩. Businessman

৪. Investor

এই চার ধরনের লোক আছে।
এবার আপনাদের জানাচ্ছি যে এই চার ধরনের লোকেদের কি কি কাজ প্রথমে আসি এমপ্লয়েড দের কি কাজ।

Employee

ইমপ্লয়েড যারা আছে তারা তাদের সময় বিক্রি করছেন কেউ তাদের জীবনে ৮ ঘণ্টা কেউ সাত ঘন্টা কেউ 5 ঘন্টা করে কোন কাজের জন্য সময় দিচ্ছেন বা বিক্রি করছেন এবং মাস শেষে তারা এর জন্য পারিশ্রমিক পান। এবং তিনি এর জন্য সেলারি পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ এই এরা একটিভ ইনকাম করে থাকে। অর্থাৎ এরা যদি চারটি বন্ধ করে দেয় তাহলে তাদের ইনকাম বন্ধ।

Self employed

সেলফ ইমপ্লয়েডের অর্থ হচ্ছে নিজের মতো করে কাজ। কিছু সেম ইমপ্লয়েডের উদাহরণ হচ্ছে উকিল ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কনসালটেন্ট ইত্যাদি কিংবা সাধারণ কোন দোকানদার সেও কিন্তু সেলফ এমপ্লয়ি সেল্ফ রিপ্লাইড হচ্ছে একাই নিজে কত করে ইনকাম করা। অর্থাৎ যারা সেলফ এমপ্লয়েড তারা নিজের মতো করে যখনই সার্ভিস দেবে তখনই তাদের ইনকাম হবে আর সার্ভিস দেয়া বন্ধ করে দিলে তাদের ইনকামও শেষ হয়ে যাবে।

অর্থাৎ সেম ইমপ্লয়েড আর এমপ্লয়েড এই দুই ধরনের লোকেরাই কিন্তু অ্যাক্টিভ ইনকাম করে।।

বিজনেসম্যান

বিজনেসম্যান হল তারা যারা অন্যের সময়কে কিনে টাকা ইনকাম করে তারাই হচ্ছে বিজনেসম্যান। তারা ১৫২০টা বা একশটা মানুষকে চাকরি দিয়ে তাদের দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নিয়ে তাদের একটি পারিশ্রমিক দেয় এবং সে টাকা রোজগার করছে

Investor

ইনভেস্টার হচ্ছে যে টাকা ইনভেস্ট করে। যে কোন কাজের জন্য টাকা লাগাই। আজকাল অনেক সেলফ এমপ্লয়েড ও আছে যারা ইনভেস্ট করে টাকা রোজগার করছে অর্থাৎ ইনভেস্ট করে প্যাসিভ ইনকাম ও করা যায়।

পুরাতন দুই ধরনের প্যাসিভ ইনকাম এর উপায় রয়েছে

১. Real estate

  1. Stock market

শুরু করছি রিয়াল স্টেট থেকে।
ধরে নিন আপনি রিয়েল এস্টেট এর মাধ্যমে ব্যবসা করবেন। ধরুন আপনার কোন জায়গায় জমি আছে কোথাও জায়গা আছে সেই জায়গাটা আপনি রেন্ট এ দিতে পারেন সেইখান থেকে কিন্তু রেগুলার প্রত্যেক মাসে মাসে আপনার ইনকাম হতে থাকবে। এটাই প্যাসিভ ইনকামের একটা উপায়। শুধু রেন্ট থেকে ই না আপনার কোথাও একটা জায়গা আছে সেই জায়গা থেকে একটা ওয়্যার হাউজ তৈরি করলেন। কেননা এখন মার্কেটে ওয়্যার হাউজের প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে। আমাজন ফ্লিপকার্ট এরকম ধরনের আরো অনেক কোম্পানি আছে যারা ওয়্যারহাউস ভাড়া নিতে চাই। সো আপনার যদি একটি ওয়ার হাউস থাকে তাহলে সেই হাউস
ভাড়া দিয়ে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়াও কমার্শিয়াল প্লেস এর মাধ্যমে আপনি রেন্ট দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তো রিয়েল এস্টেট থেকে আপনি ভালই প্রতিনিয়ত ইনকাম করতে পারবেন যেটাকে প্যাসিভ ইনকাম বলে।

এবার আসি স্টক মার্কেটের ব্যাপার নিয়ে। স্টক মার্কেটে যদি আপনি শেয়ারে ইনভেস্টমেন্ট করেন তাহলেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

স্টক মার্কেটে দুই ধরনের ইনভেসমেন্ট থাকে

  1. Short time investment
  2. Long time investment

শর্ট টাইম ইনভেস্টমেন্ট কাকে বলে

আপনি যদি ট্রেডিং করতে চান বা শেয়ার কেনাবেচা করতে চান
শর্ট টাইমে সবসময় কিন্তু আপনার নলেজ দরকার আছে নলেজ যদি আপনার কম থাকে তাহলে কিন্তু আপনার শর্ট টাইম ইনভেস্টমেন্ট করবেন না। কিন্তু লং টাইম ইনভেস্টমেন্টে আপনি বড় বড় কোম্পানিতে শেয়ার কিনে কিন্তু আপনি লং টাইম এর জন্যই ইনভেসসমেন্ট করতে পারেন।

বড় বড় কোম্পানি যেমন টাটা স্টিল এশিয়ান পেইন্টস টাইটান আরো অনেক ধরনের বড় বড় কোম্পানিতে আপনি যদি ইনভেস্ট করতে পারেন তাহলে তারা কিন্তু আপনাকে ভালো প্রফিট দেবে।

Mutual funds

এখন তো মিউচুয়াল ফান্ড এমন আছে। যে সেখান থেকে যদি আপনি টেকনিক্যালি একটু নলেজ থাকে আপনি বছরে পনেরো পার্সেন্ট রিটার্ন চোখ বন্ধ করে পাবেন। অর্থাৎ একটু জ্ঞান থাকলে আপনি পেয়ে যেতে পারেন চোখ বন্ধ করে রিটার্ন।

প্যাসিভ ইনকাম করার ১৫ টি কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায়

  1. অনলাইনে ডিজাইন বিক্রয়
  2. স্টক ইমেজ সেল
  3. ব্লগ সাইট তৈরি
  4. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  5. ই বুক রাইটিং
  6. ইউটিউব চ্যানেল তৈরি
  7. অ্যাপ তৈরি
  8. বই লিখা এবং প্রকাশ
  9. ড্রপ শিপিং
  10. অনলাইন সার্ভে
  11. ড্রপ শিপিং
  12. ইনফ্লুয়েঞ্জার হিসেবে আয়
  13. মোবাইলে ডাটা এনটি করে আয়
  14. অ্যানিমেশন শিখে আয়
  15. ওয়েবসাইট তৈরি করে আয়

উপরের এই ১৫ টি উপায় এর মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব। বাংলাদেশে বেকার মানুষের কোন অভাব নেই তারা যদি এভাবে প্যাসিভ করে নিজেদের বেকারত্ব খোঁচাতে পারে তাহলে দেশ এবং জনগণের ভালো হবে। প্যাসিভ ইনকাম এমন একটি পেশা যেখানে কাজ করার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই যখন যার ইচ্ছা যখন ইচ্ছা কাজ করতে পারে। প্যাসিভ ইনকাম থেকে সারা জীবন ইনকাম করা সম্ভব।

শেষ কথা

আশা করছি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে ব্যাচের ধারণা অর্জন করতে পেরেছেন এখন আপনি চাইলে এই আর্টিকেলে উল্লেখিত এই ক্যাটাগরি গুলো র মধ্যে যে যেকোনো একটি ক্যাটাগরির বেছে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন কাজ শুরু করার আগে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা অর্জন করে নিবেন এতে আপনাদের সাফল্য বৃদ্ধি পাবে। হতাশ হবেন না যেকোনো ভালো ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে ধারণা নিয়ে এবং যেকোনো কাজ শিখে দ্রুতই কাজ চালু করে দিন আশা করি সাফল্য আসবে ধন্যবাদ।

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 0 / 5. Vote count: 0

No votes so far! Be the first to rate this post.

Leave a Comment